প্রথম মুরাদ | ৩য় ওসমানীয় সুলতান
ডাক নাম মুরাদ, সম্পূর্ণ নাম "মুরাদ কোদাওয়ান্দিগার" (Murat Hudavendigar) ২৯ জুন ১৩২৬, আমাসিয়ায় (বর্তমানের তুরুষ্ক) তিনি জন্মগ্রহণ করেন। উনার পিতা ছিলেন প্রথম ওরহান। মাতার নাম নিলুফার হাতুন। তিনি ১৩৬২ থেকে ১৩৮৯ সাল পর্যন্ত সম্রাজ্য শাসন করেছেন।
যুদ্ধ:
১। উসমানীয় সম্রাজ্য বা অটোমান সম্রাজ্য
সুলতান প্রথম মুরাদ এড্রিনোপল জয় করার পর এর নাম রাখে এদির্ন। ১৩৬৩ সালে তিনি এই শহরে উসমানীয় সালতানাতের নতুন রাজধানী স্থাপন করেন। এরপর বলকান অঞ্চলের অধিকাংশ জয় করে তিনি দক্ষিণপূর্ব ইউরোপে উসমানীয় সম্রাজ্যের সীমানা বৃদ্ধি করেন। তিনি উত্তর সার্বিয়া ও বুলগেরিয়ার রাজা এবং সেসাথে বাইজেন্টাইন সম্রাট পঞ্চম জন পেলাইওলোগোসকে কর দিতে বাধ্য করে। প্রশাসনিক কারণে মুরাদ সালতানাতকে দুইটি প্রদেশে ভাগ করেন। এদের একটি হল আনাতোলিয়া (এশিয়া মাইনর) এবং অন্যটি হল রুমেলিয়া (বলকান)। সার্বীয়দের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় মুরাদের মৃত্যুর ফলে উসমানীয়রা সামরিকভাবে তাদের রাজ্যবিস্তার স্থগিত করে এবং দুর্বল বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের উপর মনোযোগ প্রদান করে।
সালতানাত প্রতিষ্ঠা:
ইউরোপে সীমানা বৃদ্ধি করে মুরাদ সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর তিনি বলকানের অধিকাংশ অঞ্চল উসমানীয়দের অধীনে আনেন এবং বাইজেন্টাইন সম্রাটকে কর প্রদানে বাধ্য করেন। মুরাদ সাবেক উসমানীয় গোত্রকে সালতানাতে রূপান্তর করেন। ১৩৮৩ সালে তিনি সুলতান উপাধি ধারণ করেন এবং ইয়ানিসারি নিয়োগের প্রথা চালু করেন। তিনি দিওয়ান গঠন করেন, তিমার ও সামরিক বিচারক হিসেবে কাজাসকির প্রথা চালু করেন। এছাড়াও তিনি আনাদোলু (আনাতোলিয়া) এবং রুমেলি (ইউরোপ) প্রদেশ স্থাপন করেছেন।ইউরোপে সীমানা বৃদ্ধি করে মুরাদ সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর তিনি বলকানের অধিকাংশ অঞ্চল উসমানীয়দের অধীনে আনেন এবং বাইজেন্টাইন সম্রাটকে কর প্রদানে বাধ্য করেন। মুরাদ সাবেক উসমানীয় গোত্রকে সালতানাতে রূপান্তর করেন। ১৩৮৩ সালে তিনি সুলতান উপাধি ধারণ করেন এবং ইয়ানিসারি নিয়োগের প্রথা চালু করেন। তিনি দিওয়ান গঠন করেন, তিমার ও সামরিক বিচারক হিসেবে কাজাসকির প্রথা চালু করেন। এছাড়াও তিনি আনাদোলু (আনাতোলিয়া) এবং রুমেলি (ইউরোপ) প্রদেশ স্থাপন করেছেন।
সালতানাত প্রতিষ্ঠা:
ইউরোপে সীমানা বৃদ্ধি করে মুরাদ সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর তিনি বলকানের অধিকাংশ অঞ্চল উসমানীয়দের অধীনে আনেন এবং বাইজেন্টাইন সম্রাটকে কর প্রদানে বাধ্য করেন। মুরাদ সাবেক উসমানীয় গোত্রকে সালতানাতে রূপান্তর করেন। ১৩৮৩ সালে তিনি সুলতান উপাধি ধারণ করেন এবং ইয়ানিসারি নিয়োগের প্রথা চালু করেন। তিনি দিওয়ান গঠন করেন, তিমার ও সামরিক বিচারক হিসেবে কাজাসকির প্রথা চালু করেন। এছাড়াও তিনি আনাদোলু (আনাতোলিয়া) এবং রুমেলি (ইউরোপ) প্রদেশ স্থাপন করেছেন।ইউরোপে সীমানা বৃদ্ধি করে মুরাদ সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর তিনি বলকানের অধিকাংশ অঞ্চল উসমানীয়দের অধীনে আনেন এবং বাইজেন্টাইন সম্রাটকে কর প্রদানে বাধ্য করেন। মুরাদ সাবেক উসমানীয় গোত্রকে সালতানাতে রূপান্তর করেন। ১৩৮৩ সালে তিনি সুলতান উপাধি ধারণ করেন এবং ইয়ানিসারি নিয়োগের প্রথা চালু করেন। তিনি দিওয়ান গঠন করেন, তিমার ও সামরিক বিচারক হিসেবে কাজাসকির প্রথা চালু করেন। এছাড়াও তিনি আনাদোলু (আনাতোলিয়া) এবং রুমেলি (ইউরোপ) প্রদেশ স্থাপন করেছেন।
যুদ্ধ:
সুলতান প্রথম মুরাদ আনাতোলিয়াতে এক শক্তিশালী কারামানি বেয়লিক ও ইউরোপে সার্ব, আলবেনীয়, বুলগেরীয় এবং হাঙ্গেরীয়দের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। মুরাদের সেনাপতি এবং রুমেলি প্রদেশের প্রথম গভর্নর লালা শাহিন পাশা ১৩৭১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এড্রিনোপল থেকে তুর্কিদের বিতাড়িত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত একটি সার্ব অভিযান রুখে দেন। ১৩৮৫ সালে সোফিয়া উসমানীয়দের হস্তগত হয়। ১৩৮৬ সালে সার্বীয় শাসক লাজার প্লোচনিকের যুদ্ধে উসমানীয়দের পরাজিত করেন। ফলে উসমানীয়রা নিস অধিকার করতে সক্ষম হয়নি।
১৩৮৯ সালে কসোভোর যুদ্ধে মুরাদের বাহিনী লাজারের নেতৃত্বাধীন সার্বীয় ও তার মিত্রদেরকে পরাজিত করে। সুলতান মুরাদ কখন এবং কিভাবে নিহত হয়েছিলেন সে বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়। সমসাময়িক সূত্র অনুযায়ী যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর লাজার ও মুরাদ উভয়ে যুদ্ধে নিহত হন। একটি পশ্চিমা সূত্র অনুযায়ী যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রথম দিকে মুরাদ সার্বীয় নাইট মিলোস এবং বিলিচের ছুরিকাঘাতে নিহত হন। অধিকাংশ উসমানীয় বিবরণ লেখক লিখেছেন যে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তিনি নিহত হন। অন্যান্যদের মতে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর নিজের তাবুতে তিনি খুন হন। যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাদলের বাম পার্শ্বের নেতৃত্বে থাকা তার জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রথম বায়েজীদ এরপর দায়িত্বগ্রহণ করেন।
১৩৮৯ সালের ২০ মার্চ তারিখে ফ্লোরেন্সের সেনেট থেকে বসনিয়ার রাজাকে লেখা একটি চিঠিতে মুরাদের হত্যার বর্ণনা রয়েছে। এই বিবরণ অনুযায়ী বারোজন সার্বীয় সুলতানের দিকে অগ্রসর হয় এবং তাদের একজন সুলতানের তাবুর দিকে পৌছাতে সক্ষম হন ও সুলতানকে হত্যা করেন।
আরো পড়ুনঃ
আরো পড়ুনঃ
২।সুলাইমান শাহ (আরতুগ্রুল গাজীর পিতা)
৩।আরতুগ্রুল গাজী (ওসমান গাজীর পিতা, উসমানী সম্রাজ্যের রুপকার)
৪। উসমান গাজী (সুলতান প্রথম ওরহান এর পিতা)
৫। প্রথম ওরহান (সুলতান মুরাদের পিতা)
৬। প্রথম মুরাদ (সুলতান বায়জিদ এর পিতা)
৭। বায়জিদ (মুহাম্মদ এর পিতা)
৮। মুহাম্মদ.
প্রথম মুরাদ | ৩য় ওসমানীয় সুলতান
Reviewed by Khalilur Qaderi
on
October 27, 2018
Rating: