নারীরাই জিহাদের পথে অন্তরায়...

উম্মতের পরাজয়ে প্রথম ধাপ এবং ধ্বংসের কারণ হচ্ছে আজ নারী। 

নারীরাই জিহাদের পথে অন্তরায়। কিন্তু কেন? কোন জিনিস নারীদেরকে জিহাদের প্রতি ভালাবাসা থেকে দূরে রেখেছে? তা হলো একমাত্র ঈমানের দূর্বলতার কারণেই। যদি আখেরাতের ক্ষেত্রে অল্প তুষ্ট থাকত, অন্তরে আল্লাহ তাঁর রাসুল সাঃ ও দ্বীনের ভালবাসায় ভরপুর থাকতো, আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি ভালবাসা সবকিছুর উর্ধ্বে হত তবেই না নারীরা জিহাদের জন্য নিজের স্বামী,সন্তান, ভাই, বাবাকে আল্লাহর রাস্তায় পেশ করতো। 

আল্লাহ বলেন, "বল, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থান-যাকে তোমরা পছন্দ কর-আল্লাহ, তাঁর রসূল ও তাঁর রাহে জেহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হয়, তবে অপেক্ষা কর, আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত, আর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না।" [৯-২৪] 

আহ! প্রতিটা দেশে মুসলমানেরা কি বিপদে আছে; কিন্তু আমরা কয়জন নারী আজ, সন্তান এবং স্বামীকে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য উদ্ভদ্ধ করছি? কোন বিষয়ে নারীরা যখন যত্নশীল হয় তখন সেই কাজ পুরুষের জন্য অনেক সহজ হয়। তাই তো ইসলামের গৌরবময় যুগে কাফেরদের দেশসূমহে ইসলাম বিজয়ী হয়েছে নারীদের দায়ীত্বশীলতার কারণে। তারা নিজ সন্তান, স্বামীকে আল্লাহর রাস্তায়, আল্লাহর রাহে ছেড়ে দিতেন। আর নিজের চরিত্র সম্ভ্রম ও সম্পদের হেফাজত করতেন। কারণ তারা জানতেন জিহাদই একমাত্র ব্যবস্থাপত্র যা আল্লাহর রাসুল আমাদের জন্য চিহ্নিত করে দিয়েছেন। তাই আমাদের সবাইকে জিহাদের উপর আমল করতে হবে। তা না হলে আমরা এই দূরদশা থেকে মুক্তি পাবো না।

আমাদের মুক্তির একমাত্র পথ জিহাদে ফিরে যাওয়া, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করাকে ভালাবাসা। পরিশেষে শায়েখ মুজাহিদ ইউসুফ বিন সালেহ আল উয়াহীরি ( রহিমাহুল্লাহ) এর কিছু কথা দিয়ে শেষ করবো। হে পুরুষের মাতা! "আপনার কয়জন ছেলে পাঠিয়েছেন? যে ভাবে আফরা রাঃ পাঠিয়েছিলেন।আপনার একটি ছেলে কি কোন জিহাদে অংশগ্রহণ করেছে? আপনি লজ্জাবোধ করেন না! এত ছেলের মাতা হলেন তারা কেউ আল্লাহর দ্বীনের জন্য এগিয়ে আসল না।বরং আপনি কি আল্লাহকে ভয় করছেন না! যে জিহাদের পথে আপনি কিনা তাদের জন্য বাধা হয়ে যাচ্ছেন?"  লিখেছেনঃ লিপিকা সুলতানা